বেশ কয়টা টাকা জমিয়েছেন ভাবলেন কতদিন আর ফুটপাতের সস্তা জুতা পরবেন। শখ হল নতুন জুতা পড়ার ব্র্যান্ডের জুতা পড়ার। গেলেন শো-রুমে, কিনলেনও একটা চওড়া দাম দিয়ে। বেশ খুশি আপনি। রাস্তায় আসার পথে দেখলেন খবরে সেই শোরুমে পুলিশ মাত্র অভিযান করে আবিষ্কার করে এগুলো সব চকবাজারের মাল। তারপর?
তারপর আর কি ফিট হয়ে পড়ে থাকা ছাড়া আপনার যে উপায় নেই। আর যেই আপনি সারাজীবন ফুটপাতের ভ্যানের ৩০০- ৪০০ টাকার জুতা পড়তেন আর সেই জুতাই কিনলেন কিন্তু লাখ টাকায়। আহারে দুঃখ কোথায় রাখবেন?
হয়তো উপরের বর্ণনার মতো ঘটনা আপনার সাথে বা আপনার চারপাশে অহরহ ঘটছে। সমস্যাটা হল কেন বারবার ঘটছে আর এর কি কোন সমাধান নেই? প্রথমেই বলে দেই আদৌতে বাস্তবসম্মত সমাধান নেই। এর তাই শেষ পর্যন্ত সমাধান খোঁজার প্রয়োজন নেই। জুতা বানানো ও বিক্রি মোটেও দোষের না। এমনকি চকবাজার থেকে নন ব্র্যান্ডের জুতা কিনে এনে সেগুলোকে হোয়াইট লেভেলিং করে বিক্রি করা অপরাধ নয়। তবে অপরাধটা হচ্ছে যখন আপনি চকবাজারের জুতা নিজের ব্র্যান্ডের নামে না করে অন্য সুপরিচিত ব্র্যান্ডের নামে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করবেন। এতে আপনি সেই ব্র্যান্ডের নামের অপব্যবহার করছেন ও ব্র্যান্ডের আর্থিক ক্ষতি করছেন। দ্বিতীয়ত ক্রয় মূল্য ও বিক্রয় মূল্যের আকাশ-পাতাল পার্থক্য করে ফেলে অপরাধ করছেন। আপনি ১০০ টাকার জুতা কিনে এক লাখ টাকায় বিক্রি করছেন। এটা কোন ধরনের ব্যবসা ভাই? প্রফিট মার্জিন সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ আপনি রাখতে পারেন। তাই বলে এতো?এটা তো লুট!
এরকম একটা দোকান বন্ধ করলে আরও দশটা হবে। তবুও এদের রোধ করা সম্ভব হবে না। ক্রেতা হিসেবে তাই আপনাকেই কেনার সময় সতর্ক হতে হবে।