ভিক্ষা নাকি সবই নাটক?

দেশে যেমন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কম নয় তেমন দারিদ্রতার অভিনয়কারীর সংখ্যাও নেহাতি কম নয়। দারিদ্রতা প্রকাশ করার সকল পন্থা এরা জানে।

একজন মানুষ গরীব হতেই পারে, হয়তো তার উপার্জন যথেষ্ট নয় তার পরিবার চালানোর জন্য। তো এদেরকে নিম্নবিত্ত বলা যেতে পারে। এর থেকেও কিছু মানুষের অবস্থা খারাপ হতে পারে। তার হয়তো সেরকম শারীরিক সক্ষমতা নেই টাকা উপার্জনের। তখন অনেকেই মনোবল হারিয়ে বেছে নেয় ভিক্ষাবৃত্তিকে। এই পর্যন্ত মানা যায়। কিন্তু আপনার মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা আছে, তবুও ভিক্ষাবৃত্তি করবেন। মিথ্যা হাসপাতাল রিপোর্ট বানিয়ে চার রাস্তার মোড়ে, বাসে বাসে নিজেকে অসহায় বলে ঘোষণা করে টাকা উঠাচ্ছেন এই তো সরাসরি প্রতারণা।

আবার কিছু জাহেল বাবা-মা নিজেরা তো এই প্রতারণায় নামে সাথে তাদের কোমলমতি শিশুদেরও নামায়। এবং তাদের একটা নির্দিষ্ট পোশাক, সংলাপ ও অঙ্গভঙ্গি থাকে। এটাতো পুরাই নাটকের মতো। এই তো সারাদিন এক বাস থেকে আরেক বাসে উঠে টাকা উঠান রোদের মধ্যে এর বদলে কাজ করে টাকা কামানো তো যেতো? আসলে এদের সমস্যা এদের মানসিকতায়। আর এই মানসিকতা পরিবর্তন খুব কষ্টকর। এরা সমাজের ব্যধি ও এক অভিশাপ।

ট্যাগ:
এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন