গ্রাম্য নারীরাই বেশি কুসংস্কারী

শহর ও গ্রামের মধ্যে যদি তুলনা করতেই হয় তবে কুসংস্কার বিশ্বাসীদের সংখ্যা নিয়ে তুলনা করা উচিত। শহরের আর যাই গুণ গ্রামে ছড়াক না কেন এই গুণটা সবার আগে পৌঁছানো দরকার।

কী ধরনের কুসংস্কার গ্রামে প্রচলিত? এর সঠিক উত্তর আসলে দেওয়া সম্ভব হবে না কেননা এটা অঞ্চল ভেদে ভিন্ন হয়। কেউ না হয় এটা নিয়ে কথা নাই বলুক। কিন্তু আমি কখনো বিষয়টাকে এড়িয়ে যেতে পারবো না। আমি কিছু সাধারণ কুসংস্কার নিয়ে কথা বলবো। এখনো গ্রাম্য মেয়েরা বিশ্বাস করে রাতে চুল খোলা রেখে কোথাও বের হওয়া যাবে না। এতে ভূত-প্রেত কিংবা জ্বীনের আক্রমণ হতে পারে। এর কোন বৈজ্ঞানিক বা ধর্মীয় ভিত্তি আমি তো খুঁজে পাইনি। আর রইলো ভূত-প্রেত বা জ্বীনের কথা, এরা আক্রমণ না করলেও বখাটেদের আক্রমণ হতে পারে। তাই রাতে মেয়েদের চুল খোলা রেখেই হোক আর চুল বেঁধেই হোক অবশ্যই সাথে কাউকে নিয়ে কিংবা অতি সতর্কতার সাথে চলাচল করা উচিত।

গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন ফকিরের দেখা পাওয়া যায়। তথাকথিত এসব ফকির বা সাধু বাবাদের ধর্ম নিয়েও আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কেননা তাদের কাছে কোনো এক ধর্মের মুরিদরা আসে না, বহুধর্মের আসে। আর এরা টাকার বিনিময়ে সমস্যা সমাধান করে। কিন্তু কথা হলো অন্যের এতো সমস্যার সমাধান করে অথচ নিজের টাকার সমস্যা সমাধান করতে পারে না, মুরিদদের দক্ষিণা দিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। কেমন তান্ত্রিক এরা?

আমার মনে হয় এই দীক্ষা এখনো এরা পায়নি। এদেরকে আবার তপস্যায় পাঠাতে হবে। সে যাই হোক, গ্রাম্য মহিলারাই হলো এসব ফকিরের মার্কেটিং এজেন্ট। পুরো গ্রামে ছড়িয়ে দিবে ফকিরের নাম। ইসলাম মতে, এগুলো সম্পূর্ণ শিরক। আর বিজ্ঞান মতে ভালো বিজনেস। গ্রাম্য নারীদের কিভাবে এটা থেকে উত্তরণ করা যায় তার একমাত্র উপায় কাউন্সেলিং ছাড়া আমি আর কিছু দেখছি না। আর কুসংস্কার শুধু মহিলাদেরই ধরে না, পুরুষদেরও ধরে৷ তাই সামগ্রিক ভাবে সবাইকেই কাউন্সেলিং এর আওতায় আনা উচিত।

এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন