ব্যবসায়ীরা আগের কেনা পণ্য বাজারের নতুন বাড়তি দামে বিক্রি করছে

দেখবেন অনেক ব্যবসায়ী অনেক আগের কেনা স্টক বাজারের নতুন বাড়তি দামে বিক্রি করছে। এটা কি সঠিক?

ভোক্তা অধিকারের আইন অনুযায়ী, এটা সম্পূর্ণ বে-আইনি। এটাকে আপনি পণ্যের কালোবাজারিও বলতে পারেন। একটা পণ্য ১০০ টাকায় কিনে ১১০ টাকায় বিক্রি করার কথা থাকলেও আপনি এখন বিক্রি না করে গুদামে জমিয়ে রাখলেন। যখন দেখলেন পণ্যের দাম ২০০ টাকা হলো তখন দোকানে আনলেন। এই ধরনের কাজ নিঃসন্দেহে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা। অধিক মুনাফার লক্ষ্যে বাজারে কৃত্রিম পণ্য সংকট ও বাজার ঊর্ধ্বগতিশীল কারণে এরাই দায়ী। ব্যক্তি পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা এটি করলে যতটা না প্রভাব পড়ে তার থেকে বেশি প্রভাব পড়ে কোনো কোম্পানি করলে। কারণ তাদের স্টক ও সাপ্লাই চেইন বড়। তাদের উপর একটি সম্পূর্ণ খাত নির্ভরশীল।

সোর্স থেকে যখন পণ্য আসা বন্ধ হয়ে যাবে তখন ওই চেইনের কেউ আর নতুন পণ্য পাবে না। তাদের কাছে যেগুলো থাকবে সেগুলোর দাম তারা অনৈতিকভাবে বাড়িয়ে দিবে। পণ্যের মোড়কের দামের থেকেও বেশি দাম রাখা শুরু করে। এর প্রভাবেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়। বিষয়টি অত্যন্ত জটিল ও ভয়ংকর আর এর ভুক্তভোগী হয় দেশের সাধারণ মানুষ। ভোক্তা অধিকার মাঠ পর্যায়ে যদিও অভিযান পরিচালনা করে কিন্তু কোম্পানিগুলোতেও অভিযান পরিচালনা করা, তাদের প্রোডাকশন ও স্টোরেজ ইউনিট পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। কারণ মূল প্রভাব তারাই সৃষ্টি করছে।

ট্যাগ:
এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন