‘এতো স্টুডেন্ট গোনার টাইম নাই’- শিকড় বাসের চালক

ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালুর পর শিক্ষার্থীদের কথা কি ভুলে গেলো? ভুলে গেলো নটরডেমের সেই বানিজ্য বিভাগের ছাত্রের নিথর দেহ?

যাচ্ছিলাম মিরপুর-১২ হতে সায়েদাবাদ শিকড় বাস দিয়ে। তো বাসের হেলপার যখন ভাড়া চাইলো স্টুডেন্ট আইডি কার্ড দেখিয়ে বললাম সায়েদাবাদের একটা টিকিট কাটতে। টিকিট হাতে পাওয়ার পর দেখলাম আমার থেকে তারা সাধারণ ভাড়া ৪৫ টাকা নিলো। বললাম, “মামা, আমিতো স্টুডেন্ট”! সে বললো, ” আমাগো মেশিনে স্টুডেন্ট নাই”। আমি আবার প্রতিবাদের স্বরে বললাম, “সরকার তো আন্ত:জেলা বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার নিয়ম রেখেছে”। সে বলে উঠলো, “দেহেন মামা, এতো স্টুডেন্ট গোনার টাইম নাই। মেশিনে না থাকলে কেমনে কাটুম?” উত্তরে আমি আর বেশি কিছু বলতে পারলাম না।

সত্যিই তো উনাদের বাস কোম্পানির যদি শিক্ষার্থীদের জন্য এরকম কোনো নিয়ম না রাখে উনাদের আচরণ তো এমন হবেই। শিক্ষার্থীরা না করে আয়-রোজগার না সবার হাতে থাকে পর্যাপ্ত হাতখরচ। এরাই আবার জাতির ভবিষ্যৎ। তো এই ভবিষ্যৎ চলবে কিভাবে? সব টাকা যদি যাতায়াত খরচেই চলে যায় পড়ালেখার খরচ জুটবে কিভাবে? স্কুল-কলেজের বেতন বেশি, খাতা-কলমের দাম বেড়ে গেছে এর মধ্যে এরকম হাফ ভাড়া বন্ধ। অনেকের মাসিক বাজেট নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। তাদের যদি একবেলা বাস দিয়ে যেতে হয় ঐ পথ আবার একবেলা হেটে আসতে হয়।

কিন্তু বাস মালিকরা শিক্ষার্থীদের কথা কেন ভাববে? তাদের চাই কাড়ি কাড়ি টাকা।

ট্যাগ:
এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন