ক্লিক করার আগে জেনে নিন!

এইযে মানুষ বলে তার মোবাইল, কম্পিউটার হ্যাক হয়ে গিয়েছে কিন্তু কিভাবে? কার দোষের ভুক্তভোগী হয় সে?

এখন মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের ফায়ারওয়াল অনেক শক্তিশালী। ফলে আপনি না চাইলে কেউ জোর করে তা বাইপাস করে আপনাকে হ্যাক করতে পারবে না। কথা হলো আপনি কেন চাইবেন যাতে নিজের মোবাইল হ্যাক হোক। আসলে আমরা কেউই চাই না কিন্তু অজান্তে কিছু ভুলের কারণে এরকম হয়ে থাকে। মোবাইলে অপরিচিত সোর্স থেকে কোনো অ্যাপ কিংবা সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন অপরিচিত লিংকে (যেমন t.xyz) ক্লিক করলে দেখা যায় আপনার অনুমতি থাকা না সত্বেও বিভিন্ন ট্র্যাকার, স্ক্রিপ্ট আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল হয়ে যায়। তবে এখনকার ব্রাউজারে এধরণের কোনো কিছু নামানোর পূর্বে একটা পপআপ আসে যেখানে Allow অথবা Deny অপশন থাকে। আপনি যদি Allow তে ক্লিক করেন তবেই এগুলো ইন্সটল হবে। আবার ইমেইলের মাধ্যমেও বিভিন্ন ফিশিং লিংক হ্যাকাররা পাঠায় যার কার্যপদ্ধতি প্রায়ই একই।

তাই যদি মনে হয় এধরণের লিংক আপনার কাছে অপরিচিত, মনে বিন্দুমাত্র থাকে তবে কখনোই তাতে ক্লিকই করবেন না, এতে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার তো হ্যাক হবেই এবং সাথে তাতে থাকা সফটওয়্যারগুলোর ডাটাও হ্যাকারদের হাতে চলে যাবে। ফলে মোবাইল বা কম্পিউটারে থাকা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোরও এক্সেস আপনি হারাবেন। আর এধরণের ডাটা রিকভারি এক ধরণের অনিশ্চিত প্রক্রিয়া, তাই সবাই সাবধান থাকবেন।

ট্যাগ:
এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন