চিংড়ি: আমার মাথা খাস কেন? তোকে বলছি?

আপনি যদি রাস্তায় ঘোরাফেরা করেন দেখবেন একদল হকার চিংড়ির মাথা ভাজা নামে একটি খাবার বিক্রি করে। ভাই একদম পুরো কমলার মত রং ভাজার পর তাই না?

আসলে এই খাবার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা বোঝার জন্য আমি আগে নিজে খেয়ে দেখলাম। মরি নাই! বেঁচে আছি। তবে অভিজ্ঞতাটা বলি। আপনার প্রথমত এরা যেই গোলায় মেখে চিংড়ি ভাজে আমি শতভাগ নিশ্চিত এতে এরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমলা রঙ মেশায়। আরে আমার বাসায়ও তো ভাজাপোড়ার জন্য গোলা প্রস্তুত করে। দুইটি পাশাপাশি রাখলে মনে হবে এত আকাশ পাতাল পার্থক্য কিভাবে? এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং যে কতটা ভয়ংকর তা লিখে বোঝানো যাবে না। তারপর আসা যাক তেলের কথায়। আমি কোথাও কড়াইয়ে তেল খুঁজে পেলাম না। পুরাই কোকাকোলা।

মানে পুড়তে পুড়তে এত কালো হয়ে গিয়েছে যে কোকাকোলা আর এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। আর ভাই খাওয়ার পর মনে হল এক গ্লাস রং খাচ্ছি আমার মুখ থেকে পাকস্থলী পর্যন্ত কেউ যেন পেইন্ট করে দিয়েছে মানুষ তারপরও এগুলো খাচ্ছে ও খেতেই থাকবে। এরা নিজেরাও বুঝতে পারছে না সামান্য ১০, ২০ টাকা লাভের জন্য ক্রেতার ক্যান্সারের মতো রোগ সৃষ্টি করছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা সময়ের দাবি ও এই খাদ্য ও প্রস্তুত সামগ্রী যাচাই করা এখন প্রয়োজন। তাহলে যদি মানুষ একটু এদের হাত থেকে বাঁচে।

এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন