বইয়ের কালিতে ঘুমের ঔষধ?

জোর করে হোক আর পছন্দেই হোক বই আমরা মোটামুটি সবাই পড়ি বা পড়েছি। কিন্তু কথা হলো বই পড়তে পড়তেই কেন ঘুমিয়ে যাই তাহলে? বইয়ের কালিতে কি তাহলে মেশানো হয় ঘুমের ঔষধ?

আসলে পরীক্ষার আগে ডিম খেলে পরীক্ষায় ডিম পায় কথাটি যেমন এইটাও এমনই। মুখে প্রচলিত কিন্তু বাস্তবে বড্ড অসত্য। বইয়ের কালির রাসায়নিক উপাদান বিশ্লেষণে আদৌতে বিজ্ঞানীরা কোন ঘুমের ঔষধ বের করতে পারেনি। বই পড়ার সময় আমাদের মস্তিষ্ক যদি সেই পড়ায় কোন ইন্টারেস্ট না পায় মস্তিষ্ক আর নিতে চায় না তখন। আর সেই সময়ই আসে ঘুম।

কিছুটা বাচ্চাদের খাওয়ানোর মতো। বাচ্চারা যেই খাবারে মজা পায় না যদি বাসায় সেটাই রান্না করা হয় তাদের পেটে কত যে সমস্যার উদ্ভব হয় তারা নিজেরাও তা জানে না। বইয়ের কালি যদি ঘুমের ঔষধের মতোই কাজ করতো তাহলে ছিনতাইকারীদের অত কষ্ট করে অজ্ঞানের ঔষধ কিনতে হতো না। সস্তাতেই বইয়ের কালি দিয়ে কাজ চালিয়ে দিতে পারতো। প্রিন্টের প্রেস এর লোকেরা সারাদিন নাক ডেকে তাহলে ঘুমাতো। আমার কাছে বইয়ের কালির গন্ধ এক অদ্ভুত রকমের অনুভূতিময়। কেমন যেন?

এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন