চলো আমরা ইমোতে ভিডিও কলে কথা বলি

প্রথমে ইমোতে বা ফেসবুকে বার্তালাপ, তারপর ভিডিও কলে ব্যক্তিগত কথা। শেষে শুরু হয় আসল খেলা।

আমাদের চারপাশে এরকম অনেক গুপ্ত প্রতারণার শিকার হয়েছে লোকের সংখ্যা কম নয়। আমি এটাকে গুপ্ত প্রতারণা কেনো বলছি? কারণ এই ধরনের প্রতারণায় প্রতারিত ব্যক্তি না লজ্জায় আইনের সহায়তা নেয় না লজ্জায় প্রমাণ প্রদর্শন করতে পারে। আমি এখানে প্রতারক এবং প্রতারিত ব্যক্তি উভয়ের দোষ আছে বলে মনে করি।

প্রথমে আসি প্রতারণা পদ্ধতির প্রসঙ্গে। এরা একটি দল হিসেবে কাজ করে। তাদের দলে নারীদের প্রধান টোপ হিসেবে ব্যবহার করেসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন ছেলেদের অ্যাকাউন্টে তারা তাদের মেয়ে অ্যাকাউন্ট হতে মেসেজ করে। এভাবে যে ছেলে তাদেরকে উত্তর দেয় তার সাথে শুরু হয় আলাপ। ধীরে ধীরে আলাপ তার সীমা অতিক্রম করে চলে যায় নোংরামিতে। আর তখনই হঠাৎ মেয়েটি বলবে চলো ভিডিও কলে কথা বলি বা মেয়েটির বাসায় ভুক্তভোগীকে আসতে বলে। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন উভয় ক্ষেত্রেই উদ্দেশ্য ভালো নয়। আর ছেলেটিও লোভে পড়ে যায়। তখনই তাকে ভিডিও কলে বা বাসায় নানা ভাবে ভিডিও করে শুরু করে চক্রটি ব্ল্যাকমেইল। আর এই ব্ল্যাকমেইলে ভয় পেয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয় ছেলেটি।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এই ধরনের প্রতারণা ছেলেদের সাথেই হচ্ছে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে নারীদের সাথে হবার প্রমাণ আছে। কথা হলো যেকোনো বিবেচনায় উভয় পক্ষই ভুল কাজ করছে। তবে সবথেকে বেশি যে করছে অর্থাৎ প্রলোভন দেখানো সেই প্রতারকচক্রটি তাদের কঠোরতম শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। আর ছেলেদের উদ্দেশ্যে একটা কথা হালাল জীবন-যাপন করুন না হলে নিজের কপাল থাপ্পড়ায়েও কুল পাবেন না।

এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন