ছাত্রী-শিক্ষকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?

আজকাল অনেক অভিভাবকই তাদের মেয়েকে কোনো ছেলে শিক্ষক দিয়ে পড়াতে চান না। এটার পেছনে তাদের উদ্দেশ্য মহৎ হলেও বিষয়টি কি আসলেই ভাবনার নয়?

কিছুদিন আগে রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষক ও ছাত্রীর স্ক্যান্ডাল ভাইরালের খবর মোটামুটি কারোও অজানা নয়। কিন্তু এই ধরনের ঘটনার প্রকাশ কী সমাজের জন্য ভালো কিছু ইঙ্গিত দেয়? একজন শিক্ষকের প্রধান দায়িত্ব তার ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা ও নৈতিকতার দীক্ষা দেওয়া। কিন্তু সে যদি তার আদর্শ ভুলে কামের বশবর্তী হয়ে নিজের ছাত্রীদের প্রেমে পড়তে শুরু করে তবে তো ব্যাপারটা নরপশুর কাজ হবে। শিক্ষক-ছাত্রীর প্রেমের কথা এটাই যে প্রথম তা নয়। বহু আগে থেকেই এই ধরনের অপকর্ম হয়ে আসছে ও সমাজ তা মেনেও নিচ্ছে।

আমি মোটেও এটাকে সমর্থন করছি না। আর করবোই বা কেন? মেনে নিলাম ছাত্রীরা বয়সে ছোট, আবেগের বশে ভুল করে প্রেমভাব জাগতে পারে। কিন্তু ঐ শিক্ষকটাতো বড়, তার তো যথেষ্ট বাস্তব জ্ঞান হয়েছে। সে কিভাবে প্রেমের প্রস্তাবে সম্মতি জানায়? তার কি উচিত ছিলো না ঐ মূহুর্তে সতর্কতার সাথে বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করা। সেও যদি নরপশুর মতো আচরণ করে আমি মনে করি তার শিক্ষকতা করারই কোনো যোগ্যতা নেই।

শিক্ষক-ছাত্রীর সম্পর্ক একটা পবিত্র সম্পর্ক। এভাবে যদি তাতে এরকম জঘন্য দৃষ্টান্ত যোগ হতে থাকে তবে কোনো মা-বাবা তার মেয়েকে একজন ছেলে শিক্ষকের কাছে পড়াতে চাইবে না, তারা তাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকবে। তবে কি এটাকেই বলে বাস্তবতা?

এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন