সুগার ড্যাডি এখন বাংলাদেশে

টাকার লোভে যদি অল্প বয়সী মেয়েরা তাদের থেকে বয়সে অনেক বড় বৃদ্ধদের সাথে জীবনযাপন ও সম্পর্ক করে তবে সেইসব ব্রৃদ্ধ মানুষদের সুগার ড্যাডি বলে।

সুগার ড্যাডির ধারণাটা বাংলাদেশের নিজস্ব নয়। কোথায় থেকে এটার উদ্ভব সেটা বলতে না পারলেও ইউরোপ-আমেরিকায় এর বেশ প্রচলন আছে। সুন্দরী নারীরা তাদের রুপ দিয়ে ধন-সম্পত্তিসম্পন্ন বৃদ্ধদের প্রসন্ন করে থাকে এবং বৃদ্ধরাও তাদের টাকা এদের উপর ব্যয় করে। যেহেতু পশ্চিমা সংস্কৃতি বাংলাদেশে ঘোর ভাবে ছেয়ে গিয়েছে তাহলে এটা কেন বাদ যাবে। অনেক স্ক্যান্ডাল বের হচ্ছে আজকাল যে বিবাহিত পুরুষরা অবৈধভাবে এসব অল্প বয়সী নারীদের যাবতীয় খরচ দিচ্ছে ও সময় পেলেই এদের কাছে যাচ্ছে সুসময় কাটাতে। আবার কেউ কেউ এদের বিয়ে করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তবে কেন আপনি বিষয়টিকে আপেক্ষিক হিসেবে বিবেচনা করবেন?

হালালভাবে একজন নারী একজন পুরুষের সাথে বিবাহের মাধ্যমে জীবনযাপন করতে পারে। এটাই সমাজ স্বীকৃত নিয়ম। এখানে কার বয়স কত, কার কত টাকা আছে কোনো কিছুই বিবেচ্য নয়। আমাদের দেশেও তো আগে অল্প বয়সে মেয়েদের অনেক বড় বয়সের ছেলেদের সাথে বিয়ে দেওয়া হতো। এটা হালাল বলেই এটা সমস্যা না। সমস্যা তখনি দাঁড়াবে যখন আপনি টাকার জন্য বা টাকার প্রভাব দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করছেন। আপনার বাসায় স্ত্রী-সন্তান আছে। তারপরও কেন বাহিরের মেয়েদের সুগার ড্যাডি হচ্ছেন? আর মেয়েরাই বা কিভাবে টাকার লোভে এসব সম্পর্কে জড়াচ্ছে? এর ভবিষ্যতটা কী হবে তা ভেবে দেখুন তো একবার।

এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন