আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুরে?

ইতিহাস বিভাগে অনার্স করে চাকরি করছে ব্যাংকের অফিসার পদে। এ আর নতুন কী? সাবজেক্ট অনুযায়ী চাকরি কতজন পায় বাংলাদেশে বলতে পারবেন কী?

আপনি আপনার উচ্চতর শিক্ষা একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর নেন যাতে সেই শিক্ষা আপনি আপনার কর্মজীবনে কাজে লাগাতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো আপনি একটি বিষয় ধরে তার কাজের ক্ষেত্রের তালিকা যদি করেন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এক লাইনেই সেই চাকরির নামের তালিকা শেষ হয়ে যাবে।

আর ঐ মোট তালিকার মধ্যেও দেখা যাবে পদ আছে সর্বমোট হাজার জনের। দেশের ১৬ কোটির অধিক মানুষের জন্য একটি বিষয়ভিত্তিক চাকরির পদসংখ্যার নমু্না যদি এই হয় তাহলে বাকিরা কোথায় যাবে? ঐ অন্যান্য চাকরির দিকেই ছুটতে হবে সবাইকে, যোগ্যতা থাকুক আর না থাকুক। আর চাকরির প্রসঙ্গে খুব কমই কোম্পানি আছে যারা চাকরি নিয়োগ পরীক্ষায় পদ সংক্রান্ত বিষয়ে বা দক্ষতার জায়গা থেকে প্রশ্ন করে। বেশিরভাগ নিয়োগ পরীক্ষায় আসে অপ্রাসঙ্গিক ও জগাখিচুরি প্রশ্ন।

আপনি আইটি সেক্টরে চাকরি করবেন আপনার প্রশ্ন আসবে বাংলা সাহিত্য থেকে, একটা প্রশ্ন পদের যোগ্যতা অনুসারে আসে না এখন। বিশেষ করে সরকারি চাকরিতে এই বিষয়গুলো বেশি ঘটে থাকে। তাহলে ৪টা বছর কম্পিউটার সায়েন্স পড়ে লাভটা কী হলো আপনার, বাংলা সাহিত্য পড়লেই তো হতো। সরকারি দপ্তর গুলোতে সরকারি পদ অনুযায়ী সঠিক লোক না আসলে দেশ চলবে কীভাবে? প্রশ্নটার উত্তর আপনারাই খুঁজলে পেয়ে যাবেন।

বলার মতো একটাই কথা যে ছোটকাল থেকে কোনো কিছু শেখার থেকে ক্লাস টপকানো ও ভালো মার্কস পাওয়া যেই শিক্ষাব্যবস্থায় সফলতার মূল মন্ত্র তার প্রোডাক্ট তো এরকমই হবে।

এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন