টাকা- কোথায় রাখবেন আমায়?

এই ধরুন আপনি সবেমাত্র উপার্জন করতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে জমিয়ে ফেলেছেন হাজার কয়েক টাকা। তখনই শুরু হবে আপনার মনের মধ্যে খচখচ- রাখবেন কোথায় আপনার সেই যক্ষের ধন। প্রথমেই মাথায় আসবে যাই বাজার থেকে একটি মাটির ব্যাংক কিনে নিয়ে আসি। পরক্ষণই মনে হবে আরে বাসায় যদি চোর আসে তাহলে তো ওই মাটির ব্যাংকটাকেই খুজে আগে ভাঙবে। “না, না! এটা করা যাবে না” বলে উঠবে আপনার মন। “তাহলে খাটের তোষকের নিচে গুঁজে রাখবো? না চোর তো ঐখানেও ছাপা মারবে“। পড়ে গেলেন তো মুশকিলে? তবে চলুন আলোচনা করে বের করে ফেলি এর সমাধান।

আমরা সবাই চাই আমাদের টাকার যেখানে থাকুক শান্তিতে থাকুক বাড়তে থাকুক। এর জন্য অনেক জায়গা থাকলেও শিক্ষিত সমাজে ব্যাংক নামের জায়গাটা বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু জায়গাটা আবার ঝামেলারও। ব্যাপারটা হলো সাধারণ মানুষ ব্যাংকের ইন্টারেস্টের থেকে ব্যাংকের চার্জ কে বেশি ভয় পায়। এটিএম চার্জ, এসএমএস চার্জ, কোয়ার্টারলি চার্জ, ইয়ারলি চার্জ- সব একসাথে হিসেব করলে খাতা কলমে দেখে তাদের উল্টো গচ্চা যাচ্ছে। কিন্তু আপনি এই জিনিসটা ভেবে দেখলেন না আপনার অ্যামাউন্টও তো কম। আবার তার উপর ও আছে মূল্যস্ফীতির ভয়। তাই মোটা দাগে সোজা ভাষায় বলতে গেলে টাকার পরিমাণই নির্ধারণ করবে সে কোথায় থাকবে।

যদি মনে হয় আপনার হাতে বেশ অনেক টাকাই আছে একবার খাতা-কলমে হিসেব করে নিবেন ব্যাংকে টাকা রাখার পর সব চার্জ ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করার পর আপনার টাকা বাড়ে না কমে। যদি দেখেন কমছে তাহলে ভাই বাসায়ই রাখেন আর যদি দেখেন সমান থাকছে বা বাড়ছে তাহলে কালই ব্যাংকে জমা করে আসেন। এতে আপনার টাকাও বাড়লো আর জায়গামতোও থাকলো।

এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন