ইদানিং যুবসমাজে সবার হাতে হাতে একটা করে স্মার্টফোন চলে আসায় সবাই ওই অল্প পরিশ্রমে টাকার পেছনে ছোটার চেষ্টা করে। কিন্তু দেখা যায় শতকরা ৯৯ জনই ব্যর্থ হচ্ছে তাতে। কিন্তু তারপরেও কেন ছোটে তারা?
মূলত যারা সফল হয় তারা হয় মোবাইলকে পজিটিভ কাজে ব্যবহার করছে যেমন কেউ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার বা পেইজ ম্যানেজমেন্টের মতো চাকরি করে আবার কেউ মোবাইলের ক্যামেরা ব্যবহার করে ইউটিউবিং, ভিডিওগ্রাফি কিংবা ফটোগ্রাফি করে অর্থ উপার্জন করছে। কিন্তু আমি উপরে যতগুলো কাজের কথা বললাম সবগুলোই অত্যন্ত জটিল ও পরিশ্রমের ও স্কিলড হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের সমাজে একদল মানুষ এই সকল মানুষের সাফল্যের যাত্রাকে নিজেদের মার্কেটিং এর হাতিয়ার বানিয়ে যুবসমাজের থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
যুবসমাজ এতো পরিশ্রম করতে চায়না, সাময়িক সাফল্য চায় এবং এই বিষয়টা প্রতারকচক্র যেহেতু জানে সেহেতু তারা তাদের ডাটা এন্ট্রি, জামার কোড বসানো, এফিলিয়েশন সহ আরো কাজের অফার দেখায়। এই কাজগুলোকে এমনভাবে উপস্থাপন করে যেন শুয়ে-বসে ঘরেই তারা কোটিপতি হয়ে যাবে। যুব সমাজও এতে আকৃষ্ট হয়ে যায় অনভিজ্ঞতার কারণে। প্রতারকরা কখনো তাদেরকে কোর্স বিক্রি করে একজন্য বা কখনো নেয় রেজিষ্ট্রেশন ফি। আরে তারা একটা কথা কেন বুঝে না যেই ব্যক্তি আমায় চাকরি দিচ্ছে সে ফ্রিতে ট্রেনিং করতে দিবে না? যে ব্যক্তি চাকরি দিতে পারে সে আমার থেকে রেজিষ্ট্রেশন ফি কেন নিবে? এটা কি কোনো স্কুলের এডমিশন নাকি।
সাময়িক সাফল্য ও টাকার লোভে তাদের চোখে ছানি তৈরি করে। নিজেদের বিচারবুদ্ধি সব হারিয়ে ফেলে তখন তারা। এভাবে ফাঁদে পড়ে যায়। আগে ভাই কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে স্কিলড হও। ইউটিউবে হাজার হাজার ফ্রি রিসোর্সেস আছে। যেকোনো একটা স্পেশালিষ্ট ফলো করো। স্কিলড হওয়ার পর টাকা কোথা থেকে আসবে তা তুমি নিজেই বুঝে যাবা। কাউকে এসে দেখিয়ে দিতে হবে না।